ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৪

Looks like you've blocked notifications!

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির (১০) এক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পর মূল অভিযুক্তসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার প্রধান মো. ইসমাইল হোসাইনকে (৩৬) আসামি করে আজ বৃহস্পতিবার রাতে মুকসুদপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা। ধর্ষণের ঘটনা গোপন রেখে সহযোগী ও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে মাদ্রাসার অপর শিক্ষক মো. আওলাদ ওরফে আসাদুজ্জামান (৪৭), শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ (৩৫), শিক্ষক মো. আল- আমিন (২৫), পলাতক শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজু (৪৩) এবং পলাতক শিক্ষিকা আমেনা বেগম (৩০) কে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসাইনকে আসামি করেন এবং চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে অপর পাঁচজনের বিরুদ্ধে সহযোগী হিসেবে মামলায় আসামি করেছেন। মূল আসামিসহ চারজনকে বুধবার রাতেই মুকসুদপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুজন মিজানুর রহমান মিজু ও আমেনা বেগম পলাতক। আসামিরা সকলে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল হোসাইনের আবাসিক কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নিলয় রঞ্জন বল্লভ ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা জানান, আমার মেয়ে বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আমি খবর পেয়ে মেয়েকে মাদ্রাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাই। মাদ্রাসা শিক্ষকেরা একটি অমানবিক কাজ করেছে। আমার মেয়ের সঙ্গে যে এই কাজ করেছে, সেই ইসমাইল হোসাইনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি অপর পাঁচ শিক্ষক তার অসুস্থতার কথা গোপন রাখায় এবং চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার অপরাধে তাদেরও বিচার দাবি করছি।

মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দ্বীপ সাহা জানান, শিশুটির অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ বলে মনে হয়েছে। শিশুটি অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। তবে মাঝেমধ্যে চিৎকার দিয়ে বাঁচাও বাঁচাও শব্দ উচ্চারণ করছিল। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।