গাজীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার, নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরে মাওনা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করায় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় অবরোধ করেন। ছবি : এনটিভি

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে স্থানীয় একটি কারখানার সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি এবং অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই জাহাঙ্গীর আলমের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় অবরোধ করেন এবং মহাসড়কের কয়কেটি স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রীপুরের এসিল্যান্ড, শ্রীপুর থানা পুলিশ ও মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করে আজ ভোর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন নেতাকর্মীরা।

গ্রেপ্তার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম খোকন (৫০) শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, খোকন চেয়ারম্যান চক্রান্তের শিকার। তাকে সাজানো মিথ্যা মামলায় গ্রপ্তার করা হয়েছে। তার মুক্তির দাবি করছি। একটি অভিযোগে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই একতরফা মামলা করা হয়েছে। এতে খোকন চেয়ারম্যানের বিরোধী একটি পক্ষের উসকানি আছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে মামলা হলে প্রকৃত ঘটনা সবাই জানতে পারত।

জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মিজানুর রহমান রায়হান বলেন, ‘আমার বাবাকে মিথ্যা, সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে। তারা প্রকৃত অপরাধীর বিচার দাবি করছে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান বলেন, ‘মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকনসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফরচুন গ্রুপ তাদের কারখানার নির্মাণকাজ বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি এবং কর্মচারীকে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা করে। ওই কারখানার কেয়ারটেকার জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।’