পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগ গ্রেপ্তার ৩

Looks like you've blocked notifications!
পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি : এনটিভি

ফরিদপুরে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। এর আগে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারতাররা হলেন- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার সুতারকান্দা এলাকার মিরান মোল্লা (৫৫), একই উপজেলার পুড়াপাড়া এলাকার আক্কাছ মোল্যা (৪৫) এবং পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার পুরুরা গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বর (৬২)।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি মোর্শেদ আলম বলেন, ফরিদপুরে স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদনকারী প্রার্থীরা যাতে কোন দালালচক্রের দ্বারা প্রতারণার শিকার না হন, সে লক্ষ্যে ফরিদপুর জেলা পুলিশ, জেলা বিশেষ শাখা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিমকে নজরদারি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। অতঃপর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও জেলা বিশেষ শাখা নজরদারিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি প্রতারকচক্র কনস্টেবল পদে নিয়োগের অভিনব কায়দায় প্রার্থীর অভিভাবকদের প্রতারিত করছে।

এসপি আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, সাধনা বিশ্বাস নামে এক মহিলা তার মেয়ে দীপা রাজবংশী কনস্টেবল পদে চাকরি প্রত্যাশী। প্রতারকচক্র পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আট লাখ টাকা চুক্তি সম্পাদন করে চাকরি দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়েছে তার কাছে থেকে। কিন্তু তার মেয়ের পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয়নি। বিষয়টি পুলিশ জানার পর বাদীকে থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।

এসপি মোর্শেদ আলম বলেন, পরে বাদী কোতোয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে ডিবি পুলিশ ফরিদপুর শহরে অভিযান চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হান্নান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।