পরীক্ষা চলাকালীন ওএমআর শিট ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেনি : স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর

Looks like you've blocked notifications!

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আলোচিত হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া নামের এক শিক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছেঁড়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রতিবেদনে পরীক্ষা চলাকালীন ওই ছাত্রীর ওএমআর শিট ছেঁড়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় অভিযোগ প্রসঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া এ প্রতিবেদন উত্থাপন করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর অভিযোগ অনুযায়ী— রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা) আমাদের তদন্ত কমিটি পরিদর্শন করেছে। তারা শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছে। সবমিলিয়ে আমরা জানতে পেরেছি, পরীক্ষার দিন ওএমআর শিট ছেঁড়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই ছাত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর আগে হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়ার অভিযোগ বিষয়ে গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তদন্তকাজ পরিচালনা করে গঠিত কমিটি।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কাজী আফজালুর রহমান কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের থোরাসিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আলম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামাল হোসেন।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩–২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে চলে যাওয়ার সময় একজন পরীক্ষার্থী এবং তার পরিবারের সদস্যরা সামন্ত লাল সেনের পথ আগলে ধরেন। তারা অভিযোগ করেন, ৯ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার সময় ওই পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন পরীক্ষাকেন্দ্রের একজন পর্যবেক্ষক।

নারী শিক্ষার্থীর কেন্দ্র ছিল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা)। পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক ওই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। তবে তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। অনুরোধ করার পরও পরীক্ষা পর্যবেক্ষক তাদের জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি।