কেরানীগঞ্জে ‘পুরান ঢাকা থেকে শেখা : জীবন্ত ঐতিহ্যের ভবিষ্যৎ অনুসন্ধান’ প্রদর্শনী

Looks like you've blocked notifications!
কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘পুরান ঢাকা থেকে শেখা : জীবন্ত ঐতিহ্যের ভবিষ্যৎ অনুসন্ধান’ শিরোনামে প্রদর্শনী। ছবি : এনটিভি

কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘পুরান ঢাকা থেকে শেখা : জীবন্ত ঐতিহ্যের ভবিষ্যৎ অনুসন্ধান’ শিরোনামে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত এইচই মারি মাসদুপুই।

সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীটি যৌথভাবে আয়োজন করে হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আলিয়ঁস  ফ্রসেস, ঢাকা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ, বিশিষ্ট  ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সীমা হামিদ, জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন শাকু প্রমুখ। 

সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীটি চালবে আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত।

প্রদর্শনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মুঘল আমলের মহল্লা থেকে বড় কাটরার রূপান্তর এবং আশপাশের এলাকাগুলোর জন্য এর একটি অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে রূপান্তর, এই প্রক্রিয়ায় এর আসল কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলা, আরমানিটোলার আশপাশে প্রকাশ্য উন্মুক্ত স্থানগুলোর শ্রেণি-বিন্যাসের গবেষণা, শাঁখারী কারিগরদের কাছ থেকে শাঁখা ও চুড়ি তৈরির হারানো কারুকাজ শেখার পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধরে রাখা, তাঁতিবাজারে  নির্মিত ঐতিহ্যকে দ্রুত গতিতে রূপান্তরিত করা, এর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। বাংলাবাজারে বই ও বাংলা ভাষা এখন যেভাবে ধরে রাখা হয়েছে, গোল তালাবের আকারে পুরান ঢাকার ঘন বুননে বিরল মরুদ্যান, মঙ্গলাবাসরে জমিদারের প্রসাদের রূপান্তর এবং ফরাশগঞ্জের পাশের এলাকার কাঠের সঙ্গে কাগজের সংযোগের গল্প।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘গানের কুলি’ নামে একটি মনোমুগ্ধকর চিত্র প্রদর্শিত হয়। 

এই প্রদর্শনী ইনএসএ, প্যারিস লা ভিলেট, বুয়েট, ঢাকা, বিভিসিওএ, নাভি মুম্বাই, সিএটি, ত্রিভান্দ্রম এবং মকপো বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার স্থাপত্য শিক্ষার্থীদের দুই সপ্তাহের স্থাপত্যবিষয়ক গবেষণার ফলাফল। তারা পুরান ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধান করার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্কিং গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করেছে। যেসব বিষয় নিয়ে তারা অনুসন্ধান চালিয়েছে সেগুলো হচ্ছে, পুরান ঢাকার বিপন্ন ঐতিহ্য, বৃত্তাকার অথর্নীতি, শহুরে কৃষি, জনসাধারণরে জন্য স্থান বণ্টন পদ্ধতি এবং পুরান ঢাকার করপোরেট সংস্কৃতি। 

আধুনিক ঢাকা তার স্থাপত্য ও জীবন্ত ঐতিহ্য হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। পুরান ঢাকা এবং বুড়িগঙ্গা নদীর মধ্যে একটি জটিল সম্পর্ক বিদ্যমান। এই প্রদর্শনী সফল করতে এবং ঢাকা শহরের এখনও বিকাশমান জীবন্ত ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে ৪৪ জন শিক্ষার্থী এবং ১২ জন পরামর্শদাতার একটি দল মানচিত্র এবং নথিভুক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করেছেন।