যে কারণে ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধি দল

Looks like you've blocked notifications!
বাঁ দিক থেকে আইলিন লাউবাচার, আফরিন আখতার ও মাইকেল শিফার। ফাইল ছবি

ঢাকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল তিন দিনের সরকারি সফরে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা এসেছে।

মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিনিধি দলটির সদস্যরা হলেন—মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর আইলিন লাউবাচার, ইউএসএআইডির এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী সেক্রেটারি (এসসিএ) আফরিন আখতার। মার্কিন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা সফর করবেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের উপায়, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতির লক্ষ্যে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করবেন। তারা এই সফরকালে যুব কর্মী ও সুশীল সমাজের নেতা, শ্রমিক সংগঠক এবং মুক্ত ও অবাধ মিডিয়া বিকাশে নিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।’

ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নিতে, মানবাধিকারকে সমর্থন করতে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে, আন্তর্জাতিক হুমকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক টেকসইয়ত্ব জোরদার ও অর্থনৈতিক সংস্কার প্রচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর ও মজবুত হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের (মার্কিন কর্মকর্তাদের) বাংলাদেশে (আগামী দিনগুলিতে) সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর ও বিস্তৃত করবে।’

‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে তা গুরুত্বপূর্ণ’ বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর মার্কিন কর্মকর্তাদের এটই প্রথম সফর।