বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের ভিত্তিতে আগামী দিনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। এ বিষয়গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকার ক্ষেত্র, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায়৷’
আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের আলোকে তারা কীভাবে আমাদের চাহিদা মেটাতে সহযোগিতা করবে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের সব উন্নয়ন সহযোগীরা সেখানে সাহায্য করতে পারে। আমি আশাবাদী, আমেরিকাও থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় তারা আমাদের চাহিদার কথাও মাথায় রাখবে।’
আলোচনায় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়ন প্রচারে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। উভয়পক্ষই পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং এই অঞ্চলের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের টেকসই সুবিধা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ, মাইকেল শিফার, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) এশিয়ার জন্য ব্যুরোর সহকারী প্রশাসক, আল্লা কামিনস, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স, পারমাণবিক নিরাপত্তা ও অপ্রসারণের উপপরিচালক; হেইলি বেকার, ইউএসএআইডিতে ব্যুরোর এশিয়া ফর স্টাফের ভারপ্রাপ্ত প্রধান, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান ও ব্রনউইন লেভেলিন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।