হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেছেন, ভৌগোলিক কারণেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে হিলি স্থলবন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। যা সম্ভাবনাময়ও। ফলে এই বন্দরকে ঘিরে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর একারণে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও গতিশীল করাসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যা দূরীকরণে কাজ করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হিলি স্থলবন্দর, চেকপোস্ট ও সীমান্তের জিরোপয়েন্ট পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এ উপলক্ষে আজ বন্দরের বাংলা-হিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের কর্মকর্তাদের যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ী, কাস্টমস কর্মকর্তা, বালুরঘাট-হিলি-মেঘালয় করিডোর কমিটি, স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্টসসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্তের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা, বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং বালুরঘাট-হিলি-মেঘালয় করিডোর কমিটির আহবায়ক নব কুমার দাসসহ অনেকে।
আজ দুপুর সোয়া ১টায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজশাহী থেকে সড়ক পথে হিলিতে আসেন। এ সময় উপজেলা প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে তিনি হিলি সীমান্তের জিরোপয়েন্টে গিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কর্মক্রম পরিদর্শন করেন এবং সেই সাথে এই পথ দিয়ে দুই দেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচলে কী কী সমস্যা রয়েছে সেটি দেখেন। পরে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। সেখানে বিএসএফ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিছু সময় কথা বলেন।
এরপরে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভা কক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেন।