স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁয় পোরশায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে করা মামলায় স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান নওগাঁর পোরশা উপজেলার শাহ পুকুর দীঘিপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্বগ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের বিবাহিত জীবনে একটি মেয়ে সন্তান ও একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে নিয়ে কুমিল্লায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বসবাসকালে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে ফাতেমা বেগমকে তার স্বামী গ্রামের বাড়িতে তার মা-বাবার কাছে রেখে যান। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের ১২ জুন সকাল ৭টার দিকে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে গলাটিপে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। পরে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালান। সংবাদ পেয়ে ফাতেমার বাবা রবিউল ইসলাম ঘটনার দিনই মোস্তাফিজুর রহমানকে আসামি করে পোরশা থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয়। ১৩ সাক্ষী আদালতে হাজির করে সাক্ষ্য দেন। শুনানি শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে স্টেট ডিফেন্স অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম বেনু মামলাটি পরিচালনা করেন।