ভালুকায় পাঁচ বছরে মডেল মসজিদের কাজ হয়েছে ২৭ শতাংশ
পাঁচ বছরেও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি ভালুকা উপজেলার সরকারি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের তিনতলা ভবন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর কাজ শুরু হলেও কয়েকটি পিলার বসানো ছাড়া আর কোনো কাজ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পাঁচ বছরে ভবনটির কাজ হয়েছে মাত্র ২৭ শতাংশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে ঠিকাদার মালামাল নিয়ে চলে গেছে। ফলে মুসল্লিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি মডেল মসজিদ উদ্বোধন থেকে ১৫ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় পাচঁ বছরে ২৭ শতাংশের বেশি কাজ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পৌরসদরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের পাশে ৪০ শতাংশ জমির ওপর মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেটির নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এস আলম এন্টারপ্রাইজ কাজ পায়। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করে এস আলম এন্টারপ্রাইজ। নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল এস আলম এন্টারপ্রাইজের মালিক ড. সামীউল আলম লিটন মারা গেলে তাঁর স্ত্রী কিছু দিন কাজের তদারকি করে। পরে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে মালামাল নিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলীনুর খান জানান, তিনি নতুন এসেছেন। খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারবেন। তা ছাড়া, তিনি এই কমিটিতে নেই। আর এটি গণপূর্ত বিভাগের কাজ।
তবে দ্রুত কাজ শুরুর ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ময়মনসিংহ বিভাগের গণপূর্ত প্রকৌশলী মো. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী মুঠোফোনে এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আবার টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। দায়িত্বশীল ঠিকাদার না পাওয়ায় আবারও টেন্ডার দেওয়া হবে।
সারা দেশের ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে প্রথম ধাপে ভালুকা মডেল মসজিদটি উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে মসজিদের পিলার ছাড়া কাজের আর কোনো অগ্রগতি নেই। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত রডগুলো খোলা জায়গা পড়ে থেকে মরিচা ধরেছে গেছে।
স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, প্রথম ধাপে মসজিদটি উদ্বোধন করার কথা। নানা অজুহাত দেখিয়ে কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করে মুসল্লিদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।