কুড়িগ্রামে প্রস্তাবিত ভুটানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন রাষ্ট্রদূতের

Looks like you've blocked notifications!
কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই রিনচেন কুইন্টসি। ছবি : এনটিভি

কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ-ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে (জিটুজি) ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত।

আজ রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনে আসে দেশটির রাষ্ট্রদূত এইচ ই রিনচেন কুইন্টসির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।

অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শনে এসে এর সম্ভাবনার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ অর্থনৈতিক আঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে এ জেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার পাশাপাশি স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে।

রাষ্ট্রদূত জায়গা পরিদর্শন শেষে বলেন, এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে বাংলাদেশ-ভুটান দুই দেশই লাভবান হবে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম জেলারও উন্নয়ন হবে। এজন্য বেজার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করার পর কাজ শুরু করার কথাও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনসহ অন্য কর্মকর্তারা।

সদর উপজেলায় ধরলা সেতুর পুর্বপ্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের পাশে গড়ে তোলা হবে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল। আর এতে খুশি এ জেলার ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা। তারা জানান, জেলায় কর্মমুখী কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই। ফলে দুই দেশের সরকারের উদ্যোগে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে উন্নয়ন হবে এ অঞ্চলের। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের, প্রসার ঘটবে ব্যবসা বাণিজ্যের। তাই দ্রুত এ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার দাবি তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা রহিম উদ্দিন বলেন, ‘এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে আমরা এলাকার মানুষজন কাজ পাব।’

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত কুইন্টসির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ছবি : এনটিভি

সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, ‘এই ইউনিয়নে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে শুধু এ জেলা নয় পাশের জেলারও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। আমরা চাই দ্রুত এটা বাস্তবায়ন করা হোক।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, ‘প্রস্তাবিত স্থানের সঙ্গে জেলার সোনাহাট, তোরা স্থলবন্দর ও চিলমারী নদী বন্দরসহ রেল স্টেশন ও পাওয়ার স্টেশনের যোগাযোগ ও সংযোগ ভালো হওয়ায় এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

বিশেষ অর্থনেতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত ২১৯ একর জমির মধ্যে ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে বেজার কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। চলমান রয়েছে বাকি ৮৬ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ।