ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরায় ৮জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা

Looks like you've blocked notifications!
গোপালগঞ্জে ইলেকট্রিক শক দিয়ে নদীতে মাছ শিকারের অপরাধে আটজন মাছ শিকারিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি : এনটিভি

গোপালগঞ্জে ইলেকট্রিক শক (শক লাইট) দিয়ে বিশেষ কায়দায় নদীতে মাছ শিকারের অপরাধে আটজন মাছ শিকারিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জব্দ করা হয় আটটি শকলাইট, মেশিন ও জালসহ বিভিন্ন উপকরণ। রোববার (১০ মার্চ) গভীর রাতে এ দণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসিন উদ্দীন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজড়া গ্রামের লিংকন খান (৩২), হাবিল মোল্যা (২৭), রবিউল মোল্যা (২৮) ও সুভাষ বিশ্বাস (৩২), একই উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের রাউথ খামার গ্রামের চন্দন ভৌমিক (৩৩), উরফি ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামের তারক হাজরা, কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের বিদ্যেধর গ্রামের নূর জমাদ্দার (৩৫) এবং তার ভাই রানা জমাদ্দার (২৮)। এদের মধ্যে রানা জমাদ্দারকে ১০ দিনের এবং বাকি সাতজনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

গোপালগঞ্জ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে মৎস্য বিভাগকে সাথে নিয়ে উপজেলা প্রশাসন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বশারতের খালে অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধভাবে ইলেকট্রিক শক দিয়ে বিশেষ কায়দায় মাছ ধরার সময় হাতেনাতে আটক করে ৮ জেলেকে। এ সময় তাদের নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয় শক দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত আটটি শকলাইট, বড় ব্যাটারি ও জালসহ বিভিন্ন উপকরণ।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসিন উদ্দীন ৭ জেলেকে ১৫ দিন করে ও বাকি এক জেলেকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ৮ জেলেকে আজ সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর থানা থেকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে বলে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানিয়েছেন।

অভিযানে গোপালগঞ্জের সহকারী মৎস্য অফিসার সাইয়াদুল ইসলাম ভূঁইয়া, মেরিন ফিসারিস অফিসার মো. মফিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চীনের এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলার বিভিন্ন বিল, বাওড় ও নদীর পানির মধ্যে ইলেকট্রিক শক দিয়ে পানি বিদ্যুতায়িত করে এক শ্রেণীর মৎস্য শিকারীরা। এতে একটা নির্দিষ্ট এলাকার পানি বিদ্যুতায়িত হওয়ায় ওই এলাকার ছোট-বড় মাছ কিছু সময়ের মধ্যে অচেতন হয়ে পানিতে ভেসে ওঠে। তখন মৎস্য শিকারীরা ওইসব মাছ ধরে নৌকায় উঠায়। এভাবে এলাকার নদী, খাল ও বিলের মাছ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগান জানান, নদী নালা খাল বিলের মাছ রক্ষার্থে এই ধরনের অবৈধ মৎস্য শিকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। চায়না প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে দেশীয় মাছ ধ্বংস করছে এসব মৎস্য শিকারীরা।