গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য চিকিৎসাধীন

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ১৭৯

Looks like you've blocked notifications!
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জেরে গতকাল সোমবার ১৭৯ জন সশস্ত্র বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ছবি : ইউএনবি

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তপথে পালিয়ে ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুদফায় নতুন করে আষাঢ়তলী জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে ১৭৯ জন। অপরদিকে, মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া গুলিতে নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছাবের আহমেদ কোমড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া সদস্যদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি ও ইমিগ্রেশন সদস্যরা রয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের নিরস্ত্র করে জামছড়ি সীমান্ত এলাকা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ব্যাটেলিয়ান সদর দপ্তরে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার ইমন জানান, আষাঢ়তলী সীমান্ত এলাকার জামছড়ি সীমান্তপথে নতুন করে প্রথম দফায় ২৯ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ১৫০ জন মিয়ানমার সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া গুলিতে ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছাবের আহমেদ কোমড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। সে বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সীমান্তে গোলাগুলির কোনো শব্দ না থাকায় লোকজনের মধ্যে কোনো আতঙ্ক নেই।

এ ব্যাপারে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে নতুন করে মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ইমিগ্রেশনের সদস্যরা নতুন করে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের হেফাজতে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যহত না হয়, সেজন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাখা হয়নি মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যদের। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ে কীভাবে তাদের আগের মতো ফেরত পাঠানো হবে। সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি, প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কবস্থায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলে আসছে। এর আগে গতমাসে ফেব্রুয়ারি জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৩৩০ জন। পরে গতমাসের ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত দেওয়া হয়।