১০০ দিনে ৪৫৮ ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : পরিবেশমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
আজ মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি : এনটিভি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ১০ মার্চ পর্যন্ত ৪৫৮টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০৯টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, রাজধানী ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ইটভাটার ট্রাকারের মাধ্যমে অধিক দূষণকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে কর্মকর্তাদের নিজস্ব পছন্দে ইটভাটা বাছাই করার সুযোগ থাকবে না।

সভায় পরিবেশমন্ত্রী বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন নির্মাণকালীন দূষণ, কালো ধোয়া নির্গমনকারী পরিবহণ ও কলকারখানার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রাখার নির্দেশ দেন। তিনি এসময় সরকারি নির্মাণে শতভাগ ব্লক ব্যবহারের সংশোধিত রোড ম্যাপ ঘোষণা এবং ব্লকের উদ্যোক্তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে যোগাযোগসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

কর্মসূচিতে উল্লিখিত সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণা, অনলাইন ইটিপি মনিটরিং, ইপিআর গাইডলাইন ও ন্যাশনাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগের অগ্রগতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চান মন্ত্রী। জনগণের প্রতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি পূরণে অগ্রাধিকার কর্মসূচির সময়োচিত বাস্তবায়নের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।