মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি : পিআইডি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আবারও যেসব সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, আগের মতোই তাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান মন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ দিন দুপুর পর্যন্ত নতুন করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আসার চেষ্টা করেছিল তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এর আগেও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তা-ই করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্যই বারবার এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।’

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে, এখনও ডাকা হয়নি।’

মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মুহাম্মদ হাশিম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি : পিআইডি

এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মুহাম্মদ হাশিমের সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাংলাদেশে বিনিয়োগে অষ্টম সর্বোচ্চ দেশ মালয়েশিয়া থেকে আরও বিনিয়োগ, আসিয়ান দেশগুলোর ডায়ালগ পার্টনারশিপের জন্য বাংলাদেশের আবেদনসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি বৈঠকে স্থান পেয়েছে।’

বাজারে দ্রব্যমূল্য বেশি, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে, এটাই আমাদের শক্তি। পাশাপাশি সরকার সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার একটি পরিকল্পনা করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করতে না পারে।’

‘এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মানসিকতা একটি বিষয়’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের বাজারে যে ফুলকপি ২০ টাকা, সেটিই বসতবাড়ির গলিতে ৬০ টাকা হাঁকে ভ্যানে করে বিক্রেতারা। ২০ টাকার কপি বহন খরচসহ ৩০ টাকা হতে পারে কিন্তু ৬০ টাকা চাওয়া চরম অতিরিক্ত। এটি মানসিকতার ব্যাপার।’ 

মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশা করি পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকবে।’

বিএনপি নেতাদের বাক-স্বাধীনতা নিয়ে করা মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সকাল-বিকাল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে বলে, আর তারা বলছে বাক-স্বাধীনতা নেই! আসলে নির্বাচনের পর চরম হতাশার মধ্যে এসব কথা বলে তারা দলটা টিকিয়ে রাখতে চায় মাত্র, অন্য কিছু নয়।’