এমভি আবদুল্লাহ অপহরণ : নাবিক তারেকুলকে ফিরে পাওয়ার আকুতি বাবার

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর থার্ড অফিসার তারেকুল ইসলাম। ছবি : এনটিভি

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে অপহৃত ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে পণ্যবাহী জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের একজন হলেন ফরিদপুরের তারেকুল ইসলাম। তার বাড়ি জেলার মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ছকড়িকান্দি গ্রামে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নাবিক তারেকুল ইসলামের বাবা-মা ও স্বজনরা আহাজারি করছেন। সন্তানকে ফিরে পাওয়ার করুণ আকুতি উঠে এসেছে বাবার কণ্ঠে। তারেকুলের খোঁজ-খবর জানাতে তার গ্রামের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তাদের একটিই আবেদন, যেকোনো মূল্যে নাবিক তারেকুল ইসলামকে ফিরে পেতে চান।

তারেকুল ইসলামের বাবা দেলোয়ার হোসেনকে সন্তানের মঙ্গল কামনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে দেখা গেছে। সাংবাদিকদের কাছে তিনি সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য সবার সহায়তা কামনা করেন। একইসঙ্গে সরকার যাতে ওই জাহাজের সবাইকে জীবিতদের উদ্ধার করে, সেই আবেদন জানান।

নাবিক তারেকুলের বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘তারেকুল ছোটকাল থেকেই খুবই নম্র-ভদ্র একটি ছেলে। তার সাত বছর বয়স থেকে কখনো নামাজ-রোজা কামাই করেনি।’ কথাগুলো বলতে বলতে বারবার হু হু করে কেঁদে ওঠেন তিনি। ছেলের ছবি দেখে কান্না করছেন এবং জিম্মি নাবিকদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন তারেকুলের বাবা-মা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী মো. দেলোয়ার হোসেনের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট মো. তারেকুল ইসলাম। স্থানীয় প্রাথিক বিদ্যালয়ে থেকে পাস করে চলে যান ঢাকায়। সেখানে মিরপুরের ড. মো. শহীদুল্লাহ্ কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। ২০১২ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। ২০১৪ সালে নটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। গত ডিসেম্বরে যোগ দিয়েছিলেন জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর থার্ড অফিসার হিসেবে। ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর নাটোরে বিয়ে করেন। তার এক বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।

এ ব্যাপারে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘তারেকুল ইসলাম ছোটকাল থেকেই নম্র ও ভদ্র একটি ছেলে। ২৩ নাবিকের মধ্যে মধুখালীর জাহাপুর ইউনিয়নের সন্তান তারেকুলও এখন পণবন্দি। বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর থার্ড অফিসার তিনি। তাকে ফিরে পাওয়ার জন্য সবার সহায়তা কামনা করার পাশাপাশি আমার জায়গা থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’