রমজানে আওয়ামী নির্যাতনের আরেক নাম তীব্র যানজট ও লোডশেডিং : এবি পার্টি

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে মঙ্গলবার এক সমাবেশে বক্তব্য দেন এবি পার্টিসহ সমমনা দলগুলোর নেতারা। ছবি : এনটিভি

এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি জনগণের ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের আরেক নির্যাতনের নাম তীব্র যানজট ও লোডশেডিং। সকাল থেকে ইফতারের পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো যানজটে অচল হয়ে পড়ে। গ্রামাঞ্চলে এখনই লোড শেডিংয়ের যে প্রকোপ শুরু হয়েছে, তাতে মানুষের জীবনে ভয়াবহ নাভিশ্বাস তৈরি হয়েছে।’   

গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন এবি পার্টির এই যুগ্ম আহ্বায়ক। মাসব্যাপী দলটির গণ-ইফতার কর্মসূচির অষ্টম দিনে গতকাল সহস্রাধিক অভাবগ্রস্ত নাগরিকদের মাঝে রান্না করা পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করা হয়। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আজ যারা সামান্য যানজট নিরসন করতে পারে না, তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। আজ বগুড়ায় বেগুন ৮০ টাকা মণ, অথচ ঢাকায় আশি টাকা কেজি। বাংলাদেশে খাবারের কোনো সংকট নেই। সিন্ডিকেট করে অব্যস্থাপনার মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা জনগণের পেটে লাথি মেরে টাকা লুটে নিচ্ছে। একদিকে আমাদের কৃষক মূল্য পাচ্ছে না, অন্যদিকে জনগণ খাবার কিনতে পারছে না।’

দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সদস্যসচিব সেলিম খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণদলের চেয়ারম্যান এটি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাসহ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আজ তারা ইফতার মাহফিলে হামলা করছে। সরকার বিরোধীদল দমনে যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে, তা আর মেনে নেওয়া যায় না। ভারতে যেভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে, সরকারও সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।’ তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

গণদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় একটি দানবীয় শাসন ব্যবস্থা আসীন হয়ে আছে। আমাদের শত বছরের ঐতিহ্য ইফতার মাহফিলে সরকারি দলের লোকজন হামলা করছে। মন্ত্রীরা জিনিসপত্রের দাম কমাতে ভূমিকা রাখতে না পারলেও জনগণের খাবার নিয়ে উপহাস করছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দানবীয় সরকারের পতনে ভূমিকা রাখতে হবে।’

জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করার পর মানুষ ইফতার করতে পারছে না, ইফতারের সময় রোজাদারদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের মুসলিম ঐতিহ্যের ওপর হামলা। এর বিরুদ্ধে আমাদের গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি গণ-ইফতারের মতো মহতী উদ্যোগের জন্য এবি পার্টিকে ধন্যবাদ জানান।

গণ-ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহবায়ক এ বি এম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, শাহীনুর আক্তার শীলা, এনামুল হক, শরণ চৌধুরী, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সি এম এইচ আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।