জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, এক সপ্তাহে হাসপাতালে ৫৫০ জন

Looks like you've blocked notifications!

জয়পুরহাটে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া আক্রান্ত মোট প্রায় সাড়ে ৫০০ রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জয়পুরহাটের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বাইরের করিডোর ও বারান্দার মেঝেতেই আশ্রয় নিতে হচ্ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এখন প্রতিদিন গড়ে শুধু জয়পুরহাট ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালেই ভর্তি হচ্ছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত ৭০ থেকে ৭৫ জন রোগী। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। এর বাইরে জেলার অন্যান্য উপজেলা হাসপাতালেও বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।

জয়পুরহাটের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. তুলসী চন্দ্র রায় জানান, জেলায় গত ১৬ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মোট ৫২২ জন রোগী বিভিন্ন (কেবল সরকারি) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় (২১ মার্চ) ভর্তি হয়েছে ৯১ জন। আর ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন রোগী।

জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের তেলেভাজা খোলা অস্বাস্থ্যকর খাবার, ভেজাল বা রং দেওয়া ইফতারি সামগ্রী এবং দূষিত পানি পান করার কারণে ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়েছে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের।

এ ব্যাপারে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, ‘চলতি শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালি পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর খাবার, তেলে ভাজা ইফতার সামগ্রী গ্রহণসহ জয়পুরহাট জেলা শহরে চলমান চার লেন সড়কের ড্রেনের কাজ করার সময় অসতর্কতায় পৌরসভার পানির লাইন ফেটে সাপ্লাই পানি দূষিত হয়ে এ সমস্যা হতে পারে।’

ইতোমধ্যে পৌরসভার মাটির নিচ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে সাপ্লাইকৃত (সরবরাহককৃত) পানি পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠানো হয়েছে। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই পানি পরীক্ষার রিপোর্ট জেলা সিভিল সার্জন অফিস কিংবা জয়পুরহাট পৌরসভায় এসে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া জয়পুরহাট শহরে ইতোমধ্যে মাইকিং করে জনসাধারণকে পৌরসভার সরবরাহককৃত পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ।