ভারতীয় পণ্য বর্জনে সংহতি বাংলাদেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে : রিজভী

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন। ছবি : এনটিভি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘একটি আওয়াজ বা স্লোগান আজ সর্ব মহলে সমাধৃত, সেটি হলো ভারতের পণ্য বর্জন। এ দেশের মানুষ এটি খুশি মতো তা করেননি, দীর্ঘদিনের বঞ্চনা থেকে, অপমান-লাঞ্চনা থেকে, ক্ষোভ থেকে তারা এটি করছেন। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিতে পারেন, কিন্তু সব মহলে, সব জনগণের মাঝে এটি আজ গ্রহযোগ্যতা পেয়েছে। সুতরাং, ভারতীয় পণ্য বর্জনে আমরা যে সংহতি জানিয়েছি, তা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে।’ 

আজ রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে ভারতের নীতিনির্ধারকরা বন্ধুত্বের কথা বলেন, কিন্তু তারা বাংলাদেশের অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা দেবেন না, প্রতিদিন সীমান্তে মানুষ হত্যা করবে, একতরফা বাণিজ্য করবেন, তাতো হবে না। এই যে অন্যায়গুলো, এই যে অপকর্মগুলো, এটি বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিবাদী করেছে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ভারসাম্যমূলক বাণিজ্য করেত চায় না, তারা চায় বড় ভাইসুলভ আচরণ করতে।’

রিজভী আরও বলেন, ‘তারা (ভারত) জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় না, একটি নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়। আপনারা দেখেছেন, তারা কীভাবে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বাংলাদেশে স্বৈরশাসন কায়েম করতে সমর্থন দিচ্ছে। সেই ২০১৪ সালে, ২০১৮ সালে কিংবা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি তারা একই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগণের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়েছে। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ সেই ১৯৭২ সালে ভারতের একতরফা নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, তিনি পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করেছেন। এদেশের বাম রাজনৈতিক দলগুলো ভারতের একতরফা নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ভারতেকে আদিপত্যবাদি শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। সমালোচনা করেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানও ভারতের কাছ থেকে ন্যায্য হিস্যা পেতে নানাভাবে কাজ করেছেন। সুতরাং, ভারতীয় পণ্য বর্জনে আমরা যে সংহতি জানিয়েছি, তা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে।’