জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক, জেল-মামলা

Looks like you've blocked notifications!
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ৩৩ জেলেকে আটক করে টাস্কফোর্স। ছবি : এনটিভি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা ধরার অভিযোগে ৩৩ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।

আজ রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।

আটক জেলেদের মধ্যে ১৮ জনকে ১০ দিন করে কারাদণ্ড, জনের জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় নয়জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন মো. নুরু সরকার (২৭), খোরশেদ বন্দুকশী (৪০), মো. রাসেল ঢালী (২২), মো. হোসেন (২৫), মো. আরিফ আব্দুল করিম (২৫), আব্দুল শাহজাহান (১৮), আবুল কাশেম (২১), রবিউল গাজী (২০), বিল্লাল হোসেন (১৯), রুবেল বেপারী (১৮), রাজিব শুক্কুর দেওয়ান (২৫), আব্দুর রহিম (৪০), খাজা বেপারী (৪০), ইব্রাহীম খলিল তালুকদার (৫২), জাকির রাঢ়ি (২৬) ও হাকিম খান (২৮)। 

অপ্রাপ্ত বয়স্ক জেলেরা হলো শান্ত খাঁ (১৬), মহসীন খাঁ (১২), সাব্বির পাটওয়ারী (১৬), জিহাদ হোসেন (১৩), রনি দাস (১৪), অন্তর গাজী (১৪), জীবন খান (১২), রিয়াদ হোসেন (১৬) ও হৃদয় দেওয়ান (১৬)। 

নিয়মিত মামলার আসামি জেলের হলেন মিন্টু খান (৩৫), শরীফ মিজি (২৮), আল আমিন হোসেন (২৪), আমিন খাঁ (৩৩), সোহাগ (৩৪) ও মো. নোমান (২২)।

নৌথানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, গতকাল সোমবার দিনগত মধ্যরাত থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল ছিদ্দিকের নেতৃত্বে মৎস্য দপ্তর, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় এসব জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় জেলেদের সঙ্গে থাকা তিনটি বেহুন্দিজাল, ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, পাঁচটি  ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ও পাঁচ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।

নৌথানার ওসি জানান, জব্দ করা জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দ করা নৌকা মামলার আলামত হিসেবে কোস্টগার্ড হেফাজতে রয়েছে।

অভিযানে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আশেক এস. সাত্তার, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।