ব্যারিস্টার খোকনকে সভাপতি পদে দায়িত্ব পালনে বিরত থাকতে চিঠি

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে চিঠি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। আজ বুধবার (২৭ মার্চ) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ চিঠি দিয়েছেন। 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পাঠানো চিঠি পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো-

চিঠিতে বলা হয়, গত ৬ এবং ৭ মার্চ, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে আপনারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিগত দুবছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করেছে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দুজন প্রার্থী, প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মন্জুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। 

ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে ৮ মার্চ ২০২৪ প্রত্যুষে সমিতির অডিটরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদেরকে মারধর ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনা আওয়ামী লীগের দুজন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরাম নেতাকে আসামি করে গত ৯ মার্চ ২০১৮ শাহবাগ থানায় মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে।

চিঠিতে সভাপতিকে বলা হয়, আপনারা জানেন, নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালনকারী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী ও উক্ত নির্বাচনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজলকে যথাক্রমে গত ৯ ও ১০ মার্চ ২০২৪ উপরোল্লিখিত সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার করে তাদেরকে যথাক্রমে তিনদিন ও চারদিন ডিবি অফিসে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা উভয়েই দু'সপ্তাহ কারাভোগ করেছেন। তাদেরকে কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ ২০১৪ ইং  লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমাতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাদেরকে নামকাওয়াস্তে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। বিজ্ঞ আইনজীবী সমাজ ও দেশের আপামর জনগণ নির্বাচনের এই ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইতোমধ্যে আমাদের সভাপতি পদপ্রার্থী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন পুনঃনির্বাচন দাবি করেছেন। যা দেশের সকল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

উপরোক্ত সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে গত ২৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ, ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ২০১৪ তারিখ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে/আপনাদেরকে এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি/আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২০২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। দল আশা করছে আপনি/ আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসাবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।