সারা দুনিয়া অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি : রিজভী
সারা দুনিয়া শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয় দুর্ভিক্ষ চলমান, দুর্ভিক্ষ বিরাজমান।
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নয়াপল্টনে জিয়া প্রজন্ম দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশ নাকি কানাডা ইউরোপের মতো উন্নত হয়েছে। একমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু আমরা গণমাধ্যমে কি দেখি মা তার সন্তানকে বিক্রি করতে হাটে নিয়ে গেছেন। চারদিকে ভিক্ষার আওয়াজ, ভাত চাওয়ার আওয়াজ, চাল চাওয়ার আওয়াজ শোনা যায়। রাস্তায় এতো ভিক্ষুক আমরা কখনও দেখিনি। চারদিকে শুধু আমরা আহাজারি আর কান্না দেখতে পাই। আজকে যদি কেউ লঙ্গরখানা খুলে তাহলে সেখানে দেখা যাবে গরিব মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
রিজভী বলেন, ৭২ থেকে ৭৫ যেভাবে বাংলাদেশেকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করা হয়েছিল শেখ হাসিনা দেশকে সে অবস্থায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। আজকে দেশে ভয়াবহ ডলার সংকট চলছে। রিজার্ভ ফুরিয়ে আসছে। তিন মাস আমদানি করার রিজার্ভও ব্যাংকে নেই। তারা ১৯ বিলিয়ন ডলারের কথা বললেও ব্যাংকে রিজার্ভ আছে তার চেয়ে অনেক কম। বর্তমানে পোশাক রপ্তানি ৩০ ভাগ কমে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পোশাক কারখানা থাকবে না, সব বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষ বেকার হয়ে রিকশা চালানোর অবস্থাও থাকবে না। শেখ হাসিনা দেশকে সে অবস্থায় নিয়ে গেছেন।
রিজভী বলেন, অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূলবোদের উপর আক্রমণ করছে সরকার। তারা সবকিছুর অনুমতি দিলেও ইফতারের অনুমতি দেয় না। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইফতারেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। আর এটা করেছে তাদের প্রভুদের খুশি করতে।
বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, সারা দুনিয়া শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। সেটা ২০১৪ হোক, ২০১৮ হোক বা ২০২৪ সালের নির্বাচন। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশি দেশ যারা নিজেকে গণতান্ত্রিক দেশ বলে দাবি করে, তারা একটি দলের হয়ে সারা বিশ্বে ওকালতি করছে, অবৈধ নির্বাচনকে জায়েজ করতে চেষ্টা করছে। তারা বাংলাদেশের জনগণকে সম্মান করে না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। তারা শুধু চায় বাংলাদেশে একটি দল আজীবন ক্ষমতায় থাকুক আর তাদের তাবেদারি করুক। সেজন্যই জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, তাদের পণ্য বর্জন করছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপিনেতা ফিরোজ আলম, ছাত্রদলনেতা ডা. মুশফিক, আশরাফুল আসাদ-সহ নেতৃবৃন্দ।