বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে ছাত্রলীগের চার কর্মসূচি

Looks like you've blocked notifications!
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আধুনিক, যুগোপযোগী, বৈচিত্র্যময়, সৃষ্টিশীল, যুক্তি-তথ্য ও তত্ত্বনির্ভর ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চারটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতারা এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুয়েটে আধুনিক, স্মার্ট, পলিসি-নির্ভর ও নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ চারটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো—

১. ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বীর আবাসিক হলের সিট ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বুয়েট শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি।

২. আধুনিক, স্মার্ট, পলিসি-নির্ভর ও নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা।

৩. সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী ও জঙ্গি কালোছায়া থেকে বুয়েটকে মুক্ত করতে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন।

৪. বুয়েটে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা।

লিখিত বক্তব্যে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি পুনরায় শুরু হবে। বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কিন্তু এই রাজনীতি অবশ্যই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, সেশনজট, র‍্যাগিং-বুলিং, দখল-বাণিজ্য, হত্যা-সন্ত্রাসের ছাত্ররাজনীতি নয়। এই ছাত্ররাজনীতি হবে আধুনিক, যুগোপযোগী, বৈচিত্র্যময়-সৃষ্টিশীল, জ্ঞান-যুক্তি-তথ্য-তত্ত্বনির্ভর। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংধারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি কীভাবে পরিচালনা হয়, তা থেকে জ্ঞান নিয়ে নিজেদের চর্চায় সেটি নিয়ে বুয়েট আমাদের ছাত্ররাজনীতিকে পথ নির্দেশ করবে।’

‘বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে দেশের বৃহৎ সেক্টরে কাজ করবে’ প্রত্যয় ব্যক্ত করে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘মহাকাশে কীভাবে অভিযান পরিচালনা করা যায়, রোবোটিক্সের মাধ্যমে কীভাবে শিল্পবিপ্লব জয় করা যায়, নিজ দেশের উচ্চ প্রশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে কীভাবে পদ্মা সেতুর মতো বড় বড় সেতু নির্মাণ করা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করা যায়, আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে কীভাবে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় ভূভাগ ও সমুদ্রে কীভাবে অনুসন্ধান করা যায়, দেশের আমদানি কমিয়ে কীভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করা যায়, কোন পদ্ধতিতে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি করে বেকারত্বকে চিরতরে ঘুচিয়ে দেওয়া যায়—এসব বিষয় নিয়ে কাজ করবে আগামী দিনে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীরা।’