বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির পর ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি এবং ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট এবং ব্যাংকের শাখা ম্যানেজারকে অপহরণের ১৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও মামলা হয়নি। আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার (এসপি) সৈকত শাহীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমা মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ার সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মসজিদের সবাইকে জিম্মি করে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার কে জানতে চায়। একপর্যায়ে ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে সঙ্গে করে ব্যাংকে গিয়ে গেট ভেঙে ঢুকে অফিসের সরঞ্জাম নষ্ট করে। এ সময় নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে কার্তুজসহ মোট ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় তারা।

রুমা সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার উথোয়াইচিং মারমা বলেন, ‘ডরমিটরির বাইরে যুব উন্নয়ন অফিসের পাশের দোকানে চা খাওয়ার সময় মুখে কালি লাগানো অপরিচিত তিনজন আমাকে অস্ত্রের মুখে দাঁড় করায় এবং তারা শরীর তল্লাশি করে পকেটে থাকা দেড় হাজার টাকা ও ব্যাংকের চাবি নিয়ে নেয়।’

উথোয়াইচিং মারমা আরও বলেন, ‘আমার জানামতে ভল্টের ভেতর এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা জমা ছিল। ভল্টের দুটি চাবির মধ্যে একটি আমার কাছে এবং অপরটি ম্যানেজারের কাছে থাকত। ভল্ট না খোলা পর্যন্ত কত টাকা লুট হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাজাহান বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।’

বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈকত শাহিন বলেন, ‘পুলিশের আটটি চায়নিজ রাইফেল, দুটি এসএমজিসহ ১০টি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি এবং আনসারের চারটি শটগান, ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ মোট ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। তবে কে বা কারা করেছে ক্রাইম টিম এলে তারা ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তদন্ত করবে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ 

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ব্যাংকের ভল্ট চেক করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রাইমসিন টিম এলে বুঝা যাবে টাকা খোয়া গেছে কিনা? ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’