ব্যাংক লুট : অভিযানে সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনী

Looks like you've blocked notifications!

পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) রুমায় ব্যাংক লুটের একদিনের মাথায় বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংক লুট করেছে। আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে একটার দিকে থানচি বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলো ঘেরাও করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে থানচি সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ১৫ লাখ টাকা এবং কৃষি ব্যাংক শাখা দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে ১৫টি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক লুট করে কেএনএফের একটি গ্রুপ। একদিনের ব্যবধানে দিন-দুপুরে থানচি উপজেলা বাজারে অবস্থিত সোনালী ও কৃষি ব্যাংক লুট করে কেএনএফের আরেকটি গ্রুপ। 

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সব ব্যাংকে লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন জানান, ঘটনার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বিবোচনায় ব্যাংকিং কার্যত্রুম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনী অভিযানে নেমেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানে আলম ও সাগ্যচিং মারমা অভিযোগ করে বলেন, চারদিক থেকে হঠাৎ করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পোশাক পরিহিত ৩০ তেকে ৩৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা থানচি বাজার ঘেরাও করে। ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে বাজারের লোকজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হানা দিয়ে সব টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ব্যাংক লুটের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।  লুটকারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনী অভিযানে নেমেছে। থানচি বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বান্দরবানের সোনালী ব্যাংক জেলা কার্যালয়ের ডেপুটি ম্যানেজার জেনারেল মো. ওসমান গনি জানান, নিরাপত্তা বিবেচনায় জেলা সদর শাখা ছাড়া রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।