ব্যাংক ও থানায় হামলা চালানোর বিষয়ে যা জানাল কেএনএফ

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে শুক্রবার থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। ছবি : স্টার মেইল

বান্দরবানে সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এক বিবৃতিতে ব্যাংক ও থানায় হামলা চালানোর কারণ জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে কেএনএফ অভিযোগ করে জানায়, সরকার দুপক্ষের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি সংলাপের বৈঠকে স্বাক্ষরিত শর্ত অনুযায়ী কাজ করেনি। সংগঠনটির অভিযোগ, বন্দিদের এক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও চার-পাঁচ মাস পরেও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। যে নিরাপত্তা ক্যাম্পগুলো সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল, সেগুলো সরানো হয়নি। বরং, সেখানে ক্যাম্প ও চেকপোস্ট বসিয়ে নিরীহ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে।

তবে কেএনএফের এসব দাবি নাকচ করে দিয়েছেন স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতারা। বরং, উল্টো কেএনএফ সদস্যরা চুক্তি ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ তাদের। 

শান্তি কমিটির নেতা লালসাম বম বলেন, ‘কেএনএফের সঙ্গে আলোচনায় যে চুক্তি হয়েছিল, সেটা তারা লঙ্ঘন করেছে। এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে সংঘাত ও কষ্ট বাড়বে।’

শান্তি কমিটির মুখপাত্র উজ্জ্বল তঞ্চঈ্যা বলেন, ‘দুইবার তাদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে তারা যে ওয়াদা করেছিল, সেগুলো তারা রাখেনি। ওয়াদা ভঙ্গ করে এবং চাঁদাবাজি, খুন, অস্ত্রের ঝনঝনানি তারা দেখিয়েছে।’

হামলা, লুট ও অপহরণের পর এখনও স্বাভাবিক হয়নি রুমা ও থানচির পরিবেশ। দোকানপাট খুব একটা খুলছে না। আতঙ্কে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না স্থানীয়রা। এখনও বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ব্যাংক লেনদেন।

সর্বশেষ শুক্রবার রাতেও বান্দরবানের রুমা-রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী বেতছড়া পুলিশ ক্যাম্পের কাছে থেমে থেমে গুলির শব্দ শুনেছেন এলাকার মানুষ। পরপর তিন দিন কয়েকটি হামলা, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ, গোলাগুলি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর বান্দরবানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।