‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারপ্রাপ্তি : ইউনূস সেন্টারের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়ে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ)। আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) ইউনূস সেন্টারকে চিঠি দিয়ে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।।
কমিশনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা এবং ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েব পেজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো থেকে ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার দেওয়ার সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বিএনসিইউর দৃষ্টিতে এসেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে ইউনেস্কো থেকে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দপ্তর এ বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। ১১তম বাকু ফোরামে এই সম্মাননা দেওয়ার সময় ইউনেস্কোর কোনও অফিসিয়াল প্রতিনিধিত্বই ছিল না। ইউনূস সেন্টার থেকে দাবি করা সম্মাননা ইউনেস্কোর কোনও পুরস্কার নয়।
চিঠিতে বলা হয়, ইউনেস্কো সদরদপ্তর নিশ্চত করেছে, ড. ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ দেওয়া ইজরায়েলি ভাস্কর্যশিল্পী মিজ হেদভা সের নিজেও বলেছেন, ড. ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। বাকু ফোরামের আয়োজক নিজামী গনজবী ইন্টারন্যাশন্যাল সেন্টারের আহ্বানে মিজ হেদভা সের ড. ইউনূসকে এটি দেন। মিস হেদভা সের ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক কূটনীতি বিষয়ক শুভেচ্ছাদূত, কিন্তু ইউনেস্কোর কোনও পুরস্কার বা সম্মাননা দেওয়ার এখতিয়ার তিনি রাখেন না।
উল্লিখিত বাস্তবতার নিরিখে ড. ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এবং প্রচারিত ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতারণামূলক’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি অনতিবিলম্বে সংশোধন করে তাদের অফিসিয়াল ওয়েব পেজ থেকে অপসারণ এবং আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উল্লিখিত বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যা দিতে অপারগ হলে তার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা বিএনসিইউকে লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।