জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় ঈদগাহে বৃহস্পতিবার সকালে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়

রাজধানীতে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত শুরু হয়। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঈদের জামাত।

মোনাজাতে গুনাহ থেকে মুক্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমীন। মোকাব্বির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুয়াজ্জিন ক্বারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ সাধারণ মুসল্লিরা জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আসেন। চার স্তরের নিরাপত্তা তল্লাশি অতিক্রম করে লম্বা লাইন ধরে জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদ জামাতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সিটি করপোরেশনের হিসাবে ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে জাতীয় ঈদগাহে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে এর চেয়ে বেশি মুসল্লি প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেন। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে জায়গা না পেয়ে শত শত মুসল্লি হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহের সামনের রাস্তায় ঈদের নামাজ আদায় করেন।

প্রধান ঈদ জামাত থেকে দেশ ও জনগণ এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ঈদের নামাজ শেষে চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুযায়ী সবাই কোলাকুলি করেন।