ঠাকুরগাঁও চেম্বার নির্বাচন : ভোটার নাপিত, ঝাড়ুদার, দিনমজুর!

Looks like you've blocked notifications!
ঠাকুরগাঁও চেম্বার নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলের নেতারা। ছবি : এনটিভি

ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলের নেতারা। আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ৩টায় জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলে ধরেন তাঁরা।

অভিযোগে বলা হয়, আগামী ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এ নির্বাচনকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক নতুন সদস্য করা হয়েছে। যাদের অনেকেই নাপিত (সেলুন কর্মী), ঝাড়ুদার,  হোটেলের মেছিয়ার, দিনমজুর, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি,  কাঠ মিস্ত্রি,  রং মিস্ত্রি,  হিমাগার ও জুটমিলের শ্রমিক।  যাদের কেউ আদৌ কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক না। এমনকি চেম্বারের আইন অনুযায়ী সদস্য পদ পাওয়ার যোগ্যও না। এদের অনেকের আবার সদস্য হওয়ার পর করা হয়েছে টিন সার্টিফিকেট,  যা নিয়ম বহির্ভূত। শুধু মাত্র একটি পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়েছে।  

লিখিত বক্তব্যে নেতারা দাবি করেন, আগামী ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য চেম্বার নির্বাচন স্থগিত করে নতুন করে ভোটার যাচাই-বাছাই করতে হবে। সদস্য হওয়ার যোগ্য নন এমন সদস্যদের বাদ দিতে হবে। নিয়ম মাফিক যোগ্য ও বৈধ ভোটারদের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণ যোগ্য হবে না। এতে আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটতে পারে। 

নেতারা আরও জানান, উল্লেখিত দাবিগুলো সংবলিত একটি স্মারকলিপি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও চেম্বারে নিযুক্ত প্রশাসক এবং নির্বাচন কমিশনার বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখিত প্যানেলের আহসান হাবিব আলমগীর,  মুরাদ হোসেন, সুদাম সরকার, শাওন চৌধুরী, মারুফ হোসনসহ অন্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।