দুই ইলিশেই গুনতে হলো ৬২০০ টাকা!

Looks like you've blocked notifications!
কারওয়ান বাজারে ইলিশ। ফাইল ছবি : মোহাম্মদ ইব্রাহিম

কাওরানবাজার থেকে ইলিশ কিনেছেন হাবিবুর রহমান। কাপড়ের ব্যবসায়ী তিনি। তার দাবি, এখান থেকে দুটি ইলিশ কিনতে গুনতে হয়েছে  ছয় হাজার ২০০ টাকা। এই দুই ইলিশের ওজন হয়েছে দুই কেজি ৮০০ গ্রাম। 

কারওয়ানবাজার ও কাপ্তানবাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০০ গ্রাম ওজনের বেশি ইলিশের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে  এক হাজার ২০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশের প্রতি কেজির দাম চাচ্ছে দেড় হাজার টাকা ওপরে। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম চাচ্ছে দুই হাজার ৪০০ হাজার টাকা ওপরে। এক কেজি ২০০ গ্রামের ওজনের বেশি ইলিশের দাম চাচ্ছে তিন হাজার টাকার ওপরে। বাজারভেদে ইলিশের দাম কম বেশি দেখা গেছে।

সব মিলিয়ে ‘ইলিশ ধনীদের মাছ’, বললেন একজন ক্রেতা। নাম হুমায়ন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এখন আর নিম্ন মধ্যবিত্তরা ইলিশ পাতে পায় না। বাজারে দেখলেও কেনার সাহস করে না। বছর আগে ৬০০ টাকা দিয়ে যে ইলিশ কিনেছি, এখন সেই ইলিশ কিনলে গুনতে হচ্ছে দেড়-দুই হাজার টাকা। তাই মন চাইলেও সাহস পায় না। তাই এবারে রুই মাছ দিয়ে পহেলা বৈশাখ কাঁটিয়ে দেব।

কাপ্তানবাজারের ইলিশ কিনতে আসা রহমত উল্লাহ বলেন, ছেলেমেয়ে পহেলা বৈশাখে ইলিশ মাছ খাবে। এলাকায় বাজারে ইলিশ নেই। তাই নিরুপায় হয়ে কাওরানবাজারে এসেছি। ৯০০ গ্রামে একটি ইলিশ কিনেছি। দাম নিয়েছে এক হাজার ৬০০ টাকা।

বাজারে ইলিশ কম জানিয়ে কাওরানবাজারের জামসেদ ও কাপ্তান বাজারের আশরাফসহ বেশ কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, সারা বছরের তুলনায় পহেলা বৈশাখ ঘিরে ইলিশের বাড়তি চাহিদা থাকে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। পহেলা বৈশাখের আগে প্রতিবারই দাম বাড়ে। এটা সাধারণ বিষয়।

পহেলা বৈশাখ আসার বেশ কিছুদিন আগে থেকে ইলিশে বাজার ভরা থাকত জানিয়ে ক্রেতা নাজমুল বলেন, পাড়া-মহল্লায়ও ফেরি করে ইলিশ বিক্রি করতেন বিক্রেতারা। দাম নাগালে থাকায় সব শ্রেণিপেশার মানুষ বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ খেতেন। গতকয়েক বছর পহেলা বৈশাখের সেই আমেজ নেই। কারণ, আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।