সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি

অপেক্ষায় চিফ ইঞ্জিনিয়ার সাঈদের পরিবার

Looks like you've blocked notifications!
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সাইদুজ্জামান সাঈদ। ফাইল ছবি

‘সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে পরিবারের প্রিয় মানুষের মুক্তির খবরে আবারও পরিবারে নতুন করে ঈদের খুশি বইছে। অতীত ভুলে নতুন জগতে প্রবেশ করেছি আমরা। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক ও আনন্দের খবর। জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির খবরে পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা পাল্টে গেছে।’

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন একমাস রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির শিকার সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার  সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা ও স্ত্রী। তার মুক্তির খবরে পরিবারে ফিরেছে স্বস্তি। এখন তাকে দেখার জন্য অপেক্ষায় আছেন তার বাবা-মা, স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা। নিরাশা কাটিয়ে পরিবারে ছড়িয়ে পড়েছে খুশির আমেজ।

সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘সোমালি জলদস্যুদের হাতে সাঈদ আটকের খবরের পর থেকে দিনগুলো যেন বিভীষিকার মধ্য দিয়ে কেটেছে। এর মধ্যে ঈদুল ফিতর চলে এলেও ঈদের খুশি ছিল না পরিবারে। ছেলের মুক্তির খবর শোনার পর আমাদের পরিবারে স্বস্তি এসেছে। আমাদের বুকের উপর যে পাথর চেপে ছিল, সেটি নেমে গেছে। এই খবর শোনার পর ঈদের আনন্দ আমরা নতুন করে উপভোগ করছি।’

সাইদুজ্জামান সাঈদের স্ত্রী তামান্না তাহরিন বলেন, ‘রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমাদেরকে ফোনে জানানো হয় মুক্তির খবরটি। পরে সকালে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান জলদস্যুরা তাদেরকে মুক্ত করে দিয়েছে এবং ৬৫ জনের জলদস্যুর দল এমভি আব্দুল্লাহ ছেড়ে চলে গেছে। এখন ধীরে ধীরে সোমালিয়া উপকূল পার হয়ে দুবাইয়ের দিকে যাত্রা শুরু হয়েছে। ২২ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় লাগবে তাদের দুবাই পৌঁছাতে।’

তামান্না তাহরিন আরও বলেন, ‘আমাদের এক মাস খুবই ভয়াবহ বিপদের মধ্যে কেটেছে। আসলে বাইরের এটা কেউ বুঝবে না। তাদের মুক্তির খবর শোনার পর খুবই ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। এখন সুস্থভাবে যত দ্রুত বাড়ি ফিরবে আমরা ততো স্বস্তি পাব।’

আটক নাবিকদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ায় জাহাজ কোম্পানি ও সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। ওই জাহাজের ২৩ জনের মধ্য নওগাঁ শহরের শাহী মসজিদ এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে সাইদুজ্জামান সাঈদ  জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।

জাহাজ দুবাই পৌঁছানোর পর দুজন নাবিক বিমানে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছেন।  তবে অন্য ২১ জন নাবিক জাহাজ নিয়েই বাংলাদেশ আসবেন বলে জানা গেছে।