ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ইউএনবির প্রতিবেদন থেকে

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বাংলাদেশে সফর করতে পারেন আগামী শনিবার (২০ এপ্রিল)। ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। তবে তার সফরের বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।

গত মার্চে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বিনয় কোয়াত্রার কার্যকালের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছে ভারত সরকার। ১৯৮৮ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবায় যোগ দেওয়া কোয়াত্রা ২০২২ সালের ১ মে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান।

এর আগে গত ২০২৩ সালে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়। এফওসি হলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে দুটি দেশের পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ প্রক্রিয়া। দ্বিপক্ষীয় সংলাপে উভয় পক্ষ সাধারণত সীমান্ত ও নিরাপত্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতাসহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে।

এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভারতে জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিতে সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে সাতটি ধাপে আগামী ১৯ এপ্রিল লোকসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে  চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর আগামী ৪ জুন ভোট গণনা করা হবে। প্রাক-নির্বাচনি জরিপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জোট আবারও নির্বাচিত হতে পারে।  

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) ভারত সফর অবশ্যই হবে। তবে এটি ভারতের নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে।’ তবে সফরটি ঠিক কবে হবে তা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে এখনও আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।

গত জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান মোদি। সে সময় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহতভাবে জোরদার করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি-২০ লিডারস সামিটে বাংলাদেশ অতিথি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করলে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।

আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী মোদি তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশীয় ও বিমসটেক দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।