বৃষ্টির আশায় নওগাঁয় ইসতিসকার নামাজ আদায়
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরা। প্রচণ্ড দাবদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবন ও ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। এ ছাড়া গরমে ওষ্ঠাগত পশুপাখির প্রাণ।
নওগাঁয় গত কয়েকদিন ধরে ৩৫ থেকে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থায় পড়ছেন। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরিধান করছে। কেউ কেউ চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছে। স্বস্তি পেতে বারবার পানি করতে হচ্ছে। গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে তাপমাত্রা কমার সুখকর কোনো বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না।
চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে এবং বৃষ্টির আশায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে বিশেষ নামাজ সালাতুল ইসতিসকা আদায় করা হয়েছে। এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে ইসতিসকা নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।
পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আব্দুল মুকিম।
সাপাহার উপজেলার সরফতুল্লাহ মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ওই মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. ওমর ফারুক। পোরশা উপজেলার নিতপুর শ্রীকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাপানিয়া ফাজিল মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা হযরত আলী।
ধামইরহাট উপজেলার ডিগ্রী কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আস-আদুল্লাহ। রানীনগর উপজেলার শেরে বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোস্তফা আলামিন। এ ছাড়া অন্যান্য উপজেলার শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি বা বৃষ্টি প্রার্থনা করা। সালাতুল ইসতিসকা অর্থ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ। শরিয়ত অনুযায়ী, অনাবৃষ্টির সম মহান আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুন্নত অনুসরণ করে খোলা প্রান্তরে নামাজ আদায় ও দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করে থাকেন মুসলমানরা।