নারী-পুরুষ মজুরি সমান করে দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর অনেক দেশে নারী-পুরুষ সমান মজুরি পায় না। আমরা সেটা সমান করে দিয়েছি। আমরা নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার (১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
মালিক ও শ্রমিক সবাইকে সুসম্পর্ক রক্ষা করে উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশটা আমাদের সকলের। আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশ আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।’
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার অঙ্গীকার করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না। নিজেদের প্রয়োজন নিজেদের মেটাতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর মে দিবসকে প্রথমে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা সরকার গঠন করে প্রধান কাজ হিসেবে মানুষের কল্যাণ করার শপথ নিই। সেই প্রচেষ্টাই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০০৮ নির্বাচনের ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।