খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাউলের যে পুষ্টিগুন থাকে অতিরিক্ত ছাঁটাই ও পলিশ কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাল ছাঁটাইয়ের সময় রাইস মিলে পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে। আমন মৌসুম থেকে কার্যকর করা হবে।

আজ বৃহষ্পতিবার (২ মে) দুপুরে নওগাঁয় সার্কিট হাউজে বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত চাল ছাঁটাইয় ও পলিশের কারণে ১৬ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন চাল নষ্ট হয়ে যায়। এই আইন হলে সেখান থেকেও আমরা রক্ষা পাব। আর এতে করে উৎপাদন খরচ কমে ভোক্তারা কম দামে চাল ক্রয় করতে পারবেন।

বস্তায় ধানের দাম ও জাত লেখা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্য কাজ শুরু হয়েছে। বাজারে বস্তার গায়ে দাম ও জাত আসতে শুরু করেছে। মিল মালিকদের কাছে ধানের জাতের নমুনাসহ নাম ও উৎপাদিত চাল কেমন হবে তার নমুনা পাঠানো হয়েছে। মিল গেটে চালের দাম বস্তায় লেখা থাকলে খুচরা ব্যাবসায়ীরা দাম বাড়ানোর বিষয়ে মিল মালিকদের দোষারোপ করতে পারবে না।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে গিয়ে  কৃষক বা মিল মালিক কেউ যেন হয়রানি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে। হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধানের সংগ্রহ সফল হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যেসব কারনে ধান সংগ্রহ সফল হয়না সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে আশা করা যায়। এ বছর চালের ন্যায় ধান সংগ্রহও সফল হবে।

বিগত বছর আমাদের দেশে চাল আমদানি করা হয়নি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপে কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে অনেক গুণ। এবছরও বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।

এরআগে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী জহিরুল ইসলাম খান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিল।