উপজেলা নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ : মির্জা আব্বাস
উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনকে ‘সরকারের পাতানো ফাঁদ’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ শনিবার (৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রশিদ হাবিবের মুক্তির দাবিতে ‘হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদ’ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আরেকটা ফাঁদ…সর্বশেষ ফাঁদ পেতেছে আমাদের আজকের সরকার। তারা বলছেন, উপজেলা নির্বাচন। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছিলেন…বিএনপিকে নির্বাচনে নেবেন, কিন্তু বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সেই নির্বাচনের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই। রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন, রাজতন্ত্র ঘোষণা দিতে পারেন কিন্তু নির্বাচনের কথা আপনাদের মুখ দিয়ে মানায় না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন ভোট দিতে গিয়েছিল লোকজন? এবারও যাবে না। আমরা তো নির্বাচনে নেই। ওরা (আওয়ামী লীগ) ওদের প্রার্থীকে নির্বাচনে দাঁড়াতে দেবে না, বিএনপির প্রার্থী দাঁড়ালে কি হতো অবস্থাটা। আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক আছে, সঠিক থাকবে ইনশা আল্লাহ।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই দেশে এই স্বৈরশাহীর পত্রিকায় দেখলাম…সরকার উখাত করবে। আরে ভাই আমি তো সরকারই দেখি না। এটা তো নির্বাচিত সরকার নয়। সুতরাং, এই সরকারকে উখাত করার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে, তখন লাথি দিয়ে সরকারকে ফেলে দেবে, সরকার থাকতে পারবে না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া দেশের সর্বনাশ করে গেছে। উনি নাকি ঠিক-ঠাক করছেন। ভাই কি ঠিক করছেন আমার জানা নেই। দেশে আজকে সাধারণ মানুষের দিকে নজর দেন টাকা-পয়সা নাই…কয়েকজন লোকের দিকে নজর দেন পেট বড় হয়ে গেছে। হাজার হাজার লক্ষ কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। দেশের মানুষের পেটে ভাত নেই… যারা তিন বেলা খেতেন তারা দুই বেলা খায়, যারা দুই বেলা খেতেন তারা এক বেলা খায়, যারা এক বেলা খেতেন তারা আধা বেলা খায়… এই হচ্ছে দেশের অবস্থা। তিনি দেশের উন্নয়ন করেছেন…এই উন্নয়ন চুরির উন্নয়ন…এটা দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না।’
সংগঠনের আহ্বায়ক এ এ জহির উদ্দিন তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়দেব জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নাসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।