গোপালগঞ্জে বজ্রাঘাতে ধানকাটা শ্রমিকসহ তিনজনের মৃত্যু
গোপালগঞ্জের পৃথক বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যার আগে কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়ারা ইউনিয়নের পাথরগ্রাম, মুকসুদপুর উপজেলার বরমপাল্টা গ্রাম ও কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরি ইউনিয়নের চর গোপালপুর গ্রামে বজ্রপাতে ওই তিনজন মারা যায়।
নিহতরা হলেন ধান কাটা শ্রমিক সুকান্ত (৫২), কৃষক আলমগীর শেখ (৫৫) ও অমৃত পাণ্ডে (১৮)।
কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান দেবদুলাল বিশ্বাস জানান, তার ইউনিয়নের পাথর গ্রামে সন্ধ্যার আগে বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাত হলে ধান কাটা শ্রমিক সুকান্তর শরীর ঝলছে মারা যান। সুকান্তের বাড়ি খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা গ্রামে। তিনি কয়েকদিন আগে ধান কাটতে বঠিয়াঘাটা থেকে পাথর গ্রামে আসেন।
মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বোস জানান, বরমপাল্টা গ্রামের হরষিত পাণ্ডের ছেলে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া অমৃত পাণ্ডে নিজেদের জমির ধান কেটে ধান মাথায় করে বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হন। শংকটজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়াও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী গ্রামের কাসেম আলীর ছেলে আলমগীর শেখ (৫৫) পার্শ্ববর্তী পিঞ্জুরি ইউনিয়নের চর গোপালপুর গ্রামে ধান কাটা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতে আলমগীর নামের ওই কৃষকের মৃত্যু হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান রাফেজা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল জনজীবন। অবশেষে আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় নামল স্বস্তির বৃষ্টি। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে জনজীবনে কিছুটা প্রশান্তি ফিরেছে। সন্ধ্যার পর থেকে মেঘের গর্জন ও বজ্রপাত বেড়ে যায়। স্বস্তির বৃষ্টিতে অনুভূত হচ্ছে শীতল ভাব। জড়ো হাওয়া হলেও তবে কালবৈশাখী ঝড় বা শিলাবৃষ্টির কোন খবর পাওয়া যায়নি।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, সোমবার সকাল থেকে গোপালগঞ্জের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃষ্টি শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৫টায়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮.২ মিলিমিটার। আগামী ১২ মে পর্যন্ত মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।