বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এনবিআর ঘেরাও
বাজেটে বিড়ির শুল্ক ও অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার করে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকরা।
মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘেরাও করেন শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে এনবিআরের চেয়ারম্যান বরাবর সাত দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ফেডারেশনের সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাবলু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলামসহ অন্যরা।
শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো—বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণা করা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির দালালি বন্ধ করা, অবৈধ বিড়ি তৈরির কারখানা বন্ধ করা এবং বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিকশিত হয়েছিল এই শিল্প। বঙ্গবন্ধু এই শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেন। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ২০ লাখ হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।’ বিড়ি শিল্প রক্ষা এবং শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবে বিড়ির শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করার দাবি জানান বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশে নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। সুতরাং, দেশীয় বিড়ি শিল্প রক্ষায় বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করা হলে আরও পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সরকার পাবে।’
এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতো আমাদের দেশের সরকার কর্তৃক শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণার দাবি করেন শ্রমিকরা নেতারা।