আস্থাহীনতার কারণেই জনগণ ভোট দিতে আসছে না : বদিউল আলম মজুমদার
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, চলমান উপজেলা নির্বাচন তিনটা ‘নাই’ এর নির্বাচন; ভোটার নাই, বিরোধী দল নাই ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাই। নির্বাচন নির্বাসনে গেছে এটাই তার প্রতিফলন। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষপাত নিয়ে জনমনে ধারণা জন্মেছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর যারা নির্বাচনে প্রশাসনিক সহায়তা দিয়ে থাকে তাদের প্রতি আস্থাহীনতার কারণেই জনগণ ভোট দিতে আসছে না।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বদিউল আলম মজুমদার এমন মন্তব্য করেন।
সুজন সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে তথ্য পাওয়া কাঁচা দাঁত তোলার মতো কষ্টকর বিষয়। উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর হচ্ছে না। নির্বাচনের মতো হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য পাওয়া কাঁচা দাঁত তোলার মতো কষ্টকর বিষয়৷ তাই প্রতি ধাপে না করে তিন ধাপের পর সংবাদ সম্মেলন করছি। উপজেলা নির্বাচনের সব ধাপে ভোট শেষ হলে আরেকটা করব।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘নির্বাচন নাই হয়ে গেছে। নির্বাচনের নামে শুরু হয়েছে লোক দেখানো অনুশীলন। সব নিয়ম নীতি ওঠে গেছে। আগের মতো জমিদারি নেই। তবে পরিবারতন্ত্রের বিকাশ হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে।’
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার লিখিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি এতে উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, সহিংসতার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের উপজেলায় পুনর্বাসনের প্রবণতার চিত্রও তুলে ধরেন। দিলীপ কুমার সরকার জানান, চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনে নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬০ জন। তিন ধাপে জয়ী হয়েছেন সাতজন নারী। তিন ধাপের নির্বাচনে ৮৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জয় তুলে এনেছেন, বাকিরা অন্যান্য দলের।