প্রতি মাসে দুই দিন সাইকেল চালানোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায় রাস্তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

আজ শনিবার (৮ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত ‘পেডাল ফর প্ল্যানেট’ শীর্ষক সাইকেল র‍্যালিতে যোগ দিয়ে এ ঘোষণা দেন মেয়র। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগো ফাউন্ডেশন এবং ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ যৌথভাবে এ র‍্যালি আয়োজন করে। র‍্যালিটির লক্ষ্য ছিল কার্বন নির্গমন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

সকালে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে র‍্যালিটি শুরু হয়ে বিজয় সরণি, মহাখালী ও বনানী হয়ে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বরে গিয়ে শেষ হয়। ৩৫০ জন সাইক্লিস্ট এতে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী সাইক্লিস্টদের উৎসাহ দিতে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামও র‍্যালিতে অংশ নেন। তিনিও সাইকেল চালিয়ে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত যান।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘মাদকমুক্ত সুস্থ সমাজ গঠনে শরীর চর্চা, খেলাধুলা আবশ্যক। সাইক্লিং অতি উত্তম শরীর চর্চা। অনেকে খেলাধুলা না করে, ব্যায়াম না করে খেলাধুলা, ব্যায়াম না করার কারণে অনেকে শরীর ব্যথা, মাথাব্যথাসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সুস্থতার জন্য খেলাধুলা করতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে। যুবসমাজকে ঘরে বসে অলস সময় পার না করে মাঠে আসতে হবে।’

মেয়র আতিক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানাভাবে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন যানবাহনের কারণে কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে। কিন্তু সাইকেল এমন একটি পরিবেশবান্ধব যান, যেটি কার্বন নিঃসরণ করে না। তাই সাইকেল চালানোকে উৎসাহিত করছি। আমরা সাইকেল লেন করে দেবো। যদিও সাইকেল লেন করে দিলে দেখা যায়, দখলদাররা সেটি দখল করে ফেলে। স্বেচ্ছাসেবক ও যুবসমাজকে নিয়ে এ ধরনের দখলদারদের প্রতিহত করব।’

এ সময় ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘পার্ক ও মাঠগুলো আমাদের রক্ষা করতে হবে। ফার্মগেটের আনোয়ারা পার্কে শপিংমল করতে দেওয়া হবে না। সেখানে পার্কই থাকবে। মানুষ এই পার্কে হাঁটবে, শরীর চর্চা করবে।’

র‍্যালিতে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক করভি রাখসান্দ।