সাহস থাকলে লুটেরাদের আইনের আওতায় আনুন : আব্দুস সালাম
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলবো দেশ চালাতে পারছেন না। যে বাজেট দিয়েছেন তা বেনজির বাজেট। বেনজীর যেভাবে লুটপাট করেছে এ বাজেটও লুটপাটের বাজেট। আজকে সাধারণ মানুষ কথা বললেও ট্যাক্স দিতে হবে। মোবাইল বিল ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যারা বৈধ পথে ইমকাম করবে তাদের ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে। আর যারা দুর্নীতি করে টাকা ইনকাম করবে তাদেরকে দিতে হবে ১৫ শতাংশ কর।
আজ শনিবার (৮ জুন) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, বিএনপিনেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সালাম বলেন, বেনজীর যেদিন বেকায়দায় পড়েছে তার পরেরদিনই ওবায়দুল কাদের বলেছে তার দায়ভার আমরা নিবো না। তাই অতি উৎসাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাবধান হয়ে যান।কোথায়ও কোনো গাড়ি ভাঙচুর হয়নি, অগ্নিসংযোগ হয়নি অথচ এসব অপরাধে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা দিয়েছেন, সাজা দিচ্ছেন। অথচ, আজকে লুটেরাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হচ্ছে না। প্রশাসনের প্রধানকে বলবো যারা দুর্নীতি করছে, ব্যাংক লুট করছে, শেয়ারবাজার লুট করছে, তাদের ধরা শুরু করেন। দেখবেন সবাই পালাতে শুরু করেছে।
আব্দুস সালাম বলেন, বিদেশের শ্রমবাজার আজ চার এমপি ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। যেখানে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাগে সেখানে ৮-৯ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশকে বলবো, বিচারকদের বলবো আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করুন। লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করুন। ইসলামি ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংক কারা লুট করল। আর খালেদা জিয়াকে দুই কোটি টাকার জন্য দশ বছর সাজা দেওয়া হলো। অথচ সে দুই কোটি টাকা এখন রাষ্ট্রীয় তহবিলেই ছয় কোটি টাকা হয়েছে। সরকার ব্যাংকের টাকা নিয়ে ঋণ শোধ করে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজেওতো তাহলে ঋণখেলাপী।
সালাম বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেন-তিনি নাকি কিছুই জানেন না! আসলে আপনি সবই জানেন। ১/১১তে আপনি এবং শেখ সেলিম সাহেব বলেছিলেন আমরা বস্তায় বস্তায় টাকা নিয়ে শেখ হাসিনাকে দিয়েছি। সাহস থাকলে লুটেরাদের আইনের আওতায় আনুন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন নসু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব পাপ্পা সিকদার, ছাত্রদলের পাভেল সিকদার, খালিদ হাসান জ্যাকি, শামসুজ্জামান সুরুজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, হাজী মনির হোসেন, সাইদুর রহমান মিন্টু প্রমুখ।