গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা
আসন্ন কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বিশাল দেহের গরুটিকে। ৩০ মণ ওজনের এই গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। খামারির দাবি, প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে এটিকে মোটাতাজা করা হয়েছে।
গরুটির মালিক ডামুড্যা উপজেলার সুতলকাঠি গ্রামের আসরাফুল হক বলেন, ‘ঈদে বিক্রির জন্য গরুটি লালন-পালন করেছি। চার বছরে গরুটির ওজন ৩০ মণ হয়েছে। দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুবক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘শরীয়তপুরের খামারিরা গবাদি পশুকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করছেন। বিদেশ থেকে গরু আমদানি না করলে প্রান্তিক খামারিরা লাভবান হবেন।’
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শরীয়তপুরে এ বছর এক লাখ ৩২টি গবাদি পশুর চাহিদার বিপরীতে খামারিরা প্রস্তুত করেছেন এক লাখ সাত হাজার ১২টি গবাদিপশু। জেলার পাঁচটি উপজেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী ৫৫টি হাটে বেচাকেনা হবে গবাদি পশু।
এ ছাড়াও শেষ সময়ে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। তারা জানান, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে। ন্যায্য দামে গরু বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে তাদের। তাই এবারের ঈদে ভারত থেকে গরু আমদানি না করার দাবি জানান তারা।