সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে ছাড়াই কল্যাণ পার্টির নতুন কমিটি!
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি নামে ‘নতুন কমিটি; গঠন করা হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. শামসুদ্দিন পারভেজ ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ আবু হানিফ। আজ বুধবার (১২ জুন) বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে দলটির প্রতিনিধি সভায় কাউন্সিলদের ভোটে তারা নির্বাচিত হন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। একই নামে কোনো মতেই অন্য কেউ এই দলের নাম ব্যবহার করতে পারে না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে রেখেছি।
মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমি সংসদে আছি, কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মুহাম্মদ ইবরাহিম আরও বলেন, যে কারও রাজনীতি করার অধিকার আছে। তারা অন্য নাম দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতি করতে পারে, এতে কোনো অসুবিধা নেই। তারা কয়েকদিন ধরে চেষ্টা করছে জাতীয় প্রেসক্লাব, ডিআরউইতে প্রেস কনফারেন্স করতে পারেনি। পরে তারা আজকে জামান-প্রীতম টাওয়ারে ছাদের ওপর সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করেছে।
এদিকে শামসুদ্দিন পারভেজ এবং মুহাম্মদ আবু হানিফের পক্ষে পাঠানো বার্তা বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ২০(ঙ) অনুচ্ছেদ -১ এবং ধারা ৬ (ঙ) মোতাবেক সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, তৎকালীন মহাসচিব ও অতিরিক্ত মহাসচিব যথাক্রমে আব্দুল আউয়াল মামুন এবং আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিবের আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
শামসুদ্দিন পারভেজ বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি, অথচ আমাদের ঘরেই যে বিশ্বাসঘাতক ছিল তা আমাদের বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়। আমরা দলীয়ভাবে এবং জোটগতভাবে সারা দেশে সফর করে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেছি। দলের শুরু থেকেই আমরা কল্যাণ পার্টির রাজনীতির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতৃত্বে এবং জোট হিসেবে ১২ দলীয় জোট গঠনের সময় থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা কল্যাণ পার্টি ছিলাম, আছি ও থাকব।
মহাসচিব হানিফ বলেন, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিলাম তা অব্যাহত আছে। ইতিহাস সাক্ষী আমরা অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করিনি এবং টাকার বিনিময়ে আমরা কারও কাছে বিক্রিও হইনি। এই অপশক্তি ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফেরত আসবে না।
সারাদেশ থেকে আগত উপস্থিত কাউন্সিলরগণ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রদান করেন।
কল্যাণ পার্টির এ সভাটি প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হল এবং পরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনের বুকিং বাতিল করা হয়। কল্যাণ পার্টির নেতৃবৃন্দ জানান- বিশেষ মহলের প্রত্যক্ষ মদদে এবং প্রশাসনের বাধায় তাদের বুকিং বাতিল করেছে।