স্বাধীনতা রক্ষায় আরেকবার যুদ্ধ করতে হবে : মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য আরেকবার যুদ্ধ করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে ৬০ লাখ মানুষকে রক্ত দিতে হবে।’
গতকাল শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে মানিকগঞ্জে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস। শহরের খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ‘ল’ কলেজ প্রাঙ্গণে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন ‘খালেদা জিয়াকে যেকোনো মূল্যে মুক্ত করতে হবে। তার মুক্তির ওপর নির্ভর করছে এই দেশের মানুষের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। সুতরাং, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরও বেগবান ও জোরদার করতে হবে। আমরা কিছু করতে পারি আর না পারি খালেদা জিয়াকে জীবিত অবস্থায় দেখতে চাই। আমরা তার মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছি, যুদ্ধ করেছি, রাস্তায় নেমেছি। তিনি যেন বলতে না পারেন দল তার মুক্তির জন্য কিছুই করেনি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিতে পারেন নাই, তাদেরকে আবারও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের দেশের স্বাধীনতা রক্ষার এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’
চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে তাদের সন্তানদের কোটা দেবেন, এটা মেনে নেব না, এখানে আমাদের আপত্তি আছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা দেন। এটা তাদের প্রাপ্য। আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাতে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়, এটাও আমাদের কাম্য। এই কোটা ব্যতীত মেধার ভিত্তিতে চাকরি দিতে হবে। আর তা না হলে এই দেশ মেধা শূন্য হয়ে যাবে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন ভুল পথে যাচ্ছে না, তারা সঠিক পথেই আছে।’
পেনশন স্কিম নিয়ে বিএনপিনেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শিক্ষকদের বলা হয়েছে, আপনাদের বেতনের এত টাকা পেনশনে রাখতে হবে, আর এত টাকা আপনি পাবেন। ভাগ করে দেওয়া হয়েছে, কেন ভাই? শিক্ষকদের বেতনের ওপর হামলা কেন? সর্বজনীন পেনশন কেন, কী কারণে? জনতা ব্যাংকের চার-পাঁচ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম আপনারা মাফ করে দিলেন। বড় বড় চোরদের বিশাল চুরি করার সুযোগ করে দিলেন। আর পেনশন স্কিম করেন, এই টাকা যায় কোথায়?’
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়্যেদুল আলম বাবুল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবিরসহ জেলা বিএনপিসহ সব অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।