ভারতে দুই বছর সাজাভোগ করে ফিরল ১৩ কিশোর-কিশোরী
ভারতে দুই বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী। বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরে তারা।
ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ভারতে পাচার করা হয়েছিল।
ফেরত আসা কিশোর-কিশোরীরা হলো খালেদ মাহমুদ, আব্দুল্লাহ, সাগর মল্লিক, রনি মল্লিক, দিব্যাপারনী, তামিম ইসলাম, সাবা ইসলাম, দিয়া মণ্ডল, রিয়া মণ্ডল, জান্নাত আক্তার, বৃষ্টি বিশ্বাস, চাঁদনী আক্তার, অংকুশ মণ্ডল। এরা সাতক্ষীরা, যশোর, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা ও গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ভালো কাজের আশায় দালালের খপ্পরে পড়ে এই কিশোর-কিশোরীরা দুই বছর আগে অবৈধভাবে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে পাড়ি দিয়েছিল। এরপর সেখানে বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয় তারা। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। সেখানে সাজাভোগের পর ভারতের দুটি এনজিও সংস্থা ধ্রুবাশ্রম ও সুকন্যা তাদের ছাড়িয়ে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখে। পরে ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বিকেলে তারা দেশে ফিরেছেন। তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা গ্রহণ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানান তিনি।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, ফেরত আসা কিশোর-কিশোরীদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরবর্তী সময়ে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।a