আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন নির্দেশনা দিলেন প্রধান বিচারপতি
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারির শুনানিকালে শিক্ষার্থীদের তিন নির্দেশনা দিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আজ বুধবার (১০ জুলাই) রিট ও দুই আবেদনের শুনানি শেষ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়ে এসব নির্দেশনা দেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, প্রথম ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে ফিরে যাবে। দ্বিতীয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর, শিক্ষকদের ক্লাসের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তৃতীয়ত, ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো বক্তব্য থাকলে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে বক্তব্য রাখতে পারবে, আমরা শুনবো।
শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমরা টকশোতে দেখি অনেক জ্ঞানী মহাজ্ঞানী কথা বলছেন। মনে হয় বিচারপতিরা কিছুই জানে না। যেসব ছাত্রছাত্রী স্লোগান দিচ্ছেন তারা আমাদের সন্তান। তাদের কোনো বক্তব্যে থাকলে আইনজীবীর মাধ্যমে কোর্টে দিতে পারে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, তবে পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করা হয়নি। তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তারা যেন আদালতে এসে বলেন। রাস্তায় নেমে তারা না বুঝে স্লোগান দিচ্ছে। রায় বাতিল বা বহাল রাখার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের।
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি নিয়ে ২০১৮ সালে কোটা বাতিলে সরকারি সিদ্ধান্ত আপাতত বহাল থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বুধবার (১০ জুলাই) রিট ও দুই আবেদনের শুনানি শেষ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, যেহেতু হাইকোর্টের রায় প্রকাশিত হয়নি, তাই নিয়মিত আপিলে আমরা সব পক্ষের বক্তব্য শুনব, এখন স্থিতিশীলতা থাকবে।
এর ফলে, আপাতত ২০১৮ সালে কোটা বাতিলে সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।