স্থিতাবস্থার কারণে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন হবে না : অ্যাটর্নি জেনারেল
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারির করেছে আপিল বিভাগ। এই স্থিতাবস্থার কারণে হাইকোর্টের রায়টি এখন আর বাস্তবায়ন হবে না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) আপিল বিভাগের আদেশে পর নিজ কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কোটা থাকছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, এখন যেহেতু স্থিতাবস্থা আছে তাই আগের চাকরি যেগুলো চলমান আছে, সেগুলো ঠিক থাকবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি ছিল, পরবর্তীতে সেটা ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতির বিষয়ে সরকার একটি কমিটি করে প্রথম ও দ্বতীয় শ্রেণির সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে সেটা বাতিল করা হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকুরির ক্ষেত্রে সেটা বহাল থাকে। পরবর্তীতে এটাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ রায়ে কোটা পদ্ধতি বাতিলের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দিয়েছেন। অর্থাৎ হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কোটা পদ্ধতি যেটা আগে ছিল, সেটাই আবার বহাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে এ রায়টি চ্যালেঞ্জ করে আমরা আপিল বিভাগে একটি আবেদন করি। যেহেতু রায়ের অনুলিপি পাওয়া যায়নি, তাই আমরা সিএমপি ফাইল করেছিলাম। আজকে সেটির শুনানি হলো। আমরা কোর্টকে বললাম, এখনো রায়ের অনুলিপি পাইনি। রায় না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারছি না। যেহেতু গত ৫ বছর ধরে কোটা পদ্ধতিটা বিলুপ্ত ছিল। সেই ক্ষেত্রে নতুন করে রায় না পাওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর আমরা স্থগিতাদেশ চেয়েছিলাম। উভয়পক্ষকে শুনানি করে আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। অর্থাৎ যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায়ই থাকবে।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এটা বিবেচনায় নিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশেও আছে আন্দোলনকারীদের কোনো বক্তব্য থাকলে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল বিভাগে দিতে পারবে। তাই এখন আন্দোলনের যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। এখন উচিত এটা বন্ধ করে নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে যাওয়া। আন্দোলন করে জনদুর্ভোগ বাড়ানোর আর যৌক্তিক কোনো কারণ নেই তাদের কাছে।
কোটার প্রকৃত অবস্থা কি হলো এখন?-এমন প্রশ্নের উত্তরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আগে যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায়ই আছে। স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে। সাবজেক্ট ম্যাটারে এটা বাতিল করা ছিল। যে বিজ্ঞপ্তিগুলো রয়েছে, সেগুলোতে কোটা পদ্ধতি লাগবে না। মামলাটা আগামী ৭ তারিখে শুনানি হবে, তখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় আসতে পারে।