রাজধানীতে জলাবদ্ধ সড়কে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ৩
রাজধানীতে প্রবল বর্ষনের পর জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পৃথক স্থানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পল্লবী ও কোতোয়ালি থানার সিএমএম আদালতের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ রোববার (১৩ জুলাই) পল্লবী থানার উপপরিদর্শক এসআই আব্দুল আজিজ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, মো. আলাউদ্দিন (২৭), মো. রাসেল (১৮), এবং মো. আইউব আলী (৪৫)।
পুলিশ জানিয়েছে, আলাউদ্দিন ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার মেঘেরা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার সন্তান। আর রাসেল চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার কেলিশহর দারোগার হাট গ্রামের রতন দাসের সন্তান। দুজনেই পল্লবী এলাকায় থাকতেন। আর মো. আইউব আলী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার তারাবুনিয়া গ্রামের বেলায়েত শেখের সন্তান।
এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুরে পল্লবীর আজিজ মার্কেটের পাশে আসবাব কারখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান মো. আলাউদ্দিন (২৭) ও মো. রাসেল (১৮)। তারা তারা দুজনই আসবাব কারখানায় মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।
আব্দুল আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ট্রলির ওপর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশের আব্দুল আজিজ আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে আসবাব কারখানায় পানি জমে যায়। মালপত্র রেখে পানি সরানোর সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় দুজন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনেরই মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবুও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে, ঢাকারা আগরবাতি গলিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান মো. আইউব আলী (৪৫)। শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মধ্যরাতে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আইউব আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তার বাবা মিস্ত্রির কাজ করতেন। রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে ওই এলাকার পাশে আগরবাতি গলি এলাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে প্রথমে ন্যাশনাল হাসপাতাল অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে আমার বাবার মৃত্যু হয়।
বাচ্চু মিয়া বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।