দেশের অবস্থা ভয়াবহ, কথা বলার অধিকার নেই : মির্জা ফখরুল
দেশে বর্তমান অবস্থাকে ভয়াবহ অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের অবস্থা ভয়াবহ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নেই, এমনকি কথা বলার কোনো অধিকার নেই। এখন কঠিন সময় আমরা অতিক্রম করছি। এই সময়ে যদি আমরা রুখে দাঁড়াতে না পারি তাহলে পুরো দেশ ও জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক অলোচনা সভায় কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপরে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাসহ দেশের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান। জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়ার শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যাদু মিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এদেশের মানুষ জেগে উঠছে। এবার তারা নিজেদের অধিকার আদায় করে নেবে। আমাদেরও আর সময় দেওয়া যাবে না। সকলকে উঠে দাঁড়াতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমাদের অধিকার আমাদের আদায় করে নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বরাবরই বলছি, আওয়ামী লীগ আর সেই আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এখন একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে আমলাদের ওপরে এবং তাদের তথাকথিত বাহিনীর উপরে যারা আজকে রাষ্ট্রকে পুরোপুরিভাবে একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে আমার ধারণা বই পড়ে বিভিন্নভাবে কিন্তু কোনো ধারণা ছিল না। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপরে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা দেখে মনে হয়েছে, আমি ফ্যাসিবাদ দেখেছি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গত একদিনে শেখ হাসিনার সরকার যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে এটা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে জঘন্যতম ঘটনা। আমরা আগে কখনো দেখিনি হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা আহতদের আক্রমণ করবে এটা আমরা কখনো চিন্তাও করতে পারি না, এমনকি পাকিস্তান আমলেও।
ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, নুর মোহাম্মদ খান ও ঢাকা বিশ্বব্দ্যিালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।