সাংবাদিকদের হামলা ও ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে ডিইউজে ও বিএফইউজের বিক্ষোভ
চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যা ও কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, সরকার রক্তের নেশায় উন্মত্ত হয়ে গেছে। ১৭ তারিখ ছয়জন ছাত্রহত্যার পর আজ আবার ছয়জন ছাত্রকে হত্যা করেছে। আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথকে ছুঁড়ে ফেলে রক্তই বেছে নিল সরকার। যা ফ্যাসিবাদের চরম বহিঃপ্রকাশ উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, বাংলাদেশ মনুষ্য বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সমাবেশ থেকে অভিভাবকদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেন, এভাবে পাখির মতো আমাদের সন্তানদের গুলি করে মারবে আর অভিভাবকরা চুপ করে থাকব, এটা হতে পারে না।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১১টার দিকে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের সহ সভাপতি এ কে এম মহসিন, সিনিয়র সহকারী মহাসচিব বাছির জামিল, ডিইউজের সহ সভাপতি রফিক মোহাম্মদ, ক্রাবের সাবেক সহ সভাপতি আবু সালেহ আকন, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, নির্বাহী সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, তালুকদার রুমি, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাখওয়াত ইবনে মঈন, ডিইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আল আমিন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন দুটো। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট, তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।